নমস্কার। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ও কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র সোনামুখী , বাঁকুড়ার যৌথ উদ্যোগে চাষিভাইদের সরিষার জাব পোকার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্বধে গুরত্বপূর্ন তথ্য প্রদান করা হচ্ছে । ক্ষতির প্রকৃতি - জাব পোকা বা এফিড গুলি সরষে গাছকে যে কোনো সময়েই আক্রমণ করতে পারে। এরা পাতার নীচ পিঠে দলবদ্ধভাবে কলোনি তৈরি করে পত্র ত্বকে শোষক নল ঢুকিয়ে ক্রমাগত পাতার রস শুষে খায়। তার ফলে কচি পাতাগুলি কুঁকড়ে যায় এবং বিবর্ণ হয়ে প্রায় শুকিয়ে আসে। আক্রান্ত পুষ্প মঞ্জরীর ফুল ও ফল রুগ্ন হয়ে পড়ে এবং ফলে বীজ গঠিত হয় না। ফল বিহীন মঞ্জরীদন্ডটি কুঞ্চিত অবস্থায় গাছে অবস্থান করে সুতরাং এদের ব্যাপক আক্রমণে ফসলের বিরাট ক্ষতি হয়। এই প্রকার দেহ নিঃসৃত মিষ্টি রস আক্রান্ত গাছের পাতার উপর ভুষা ছত্রাকের প্রাদুর্ভাব ঘটায়। জাব পোকা মারাত্মক ভাইরাস ঘঠিত রোগ জীবাণুর বাহক। ভাইরাস রোগ দ্রুত সুস্থ গাছগুলির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সর্ষের ব্যাপক ক্ষতি ঘটায়। প্রতিকার ব্যবস্থা হিসাবে গাছের বয়স যখন ২৫-৩ ০ দিন তখন নিমতেল ১০হাজার ppm ৩ মি.লি প্রতি লিটার জলের সাথে মিশিয়ে স্প্রে করা যাবে। স্প্রে করার ২০ থেকে ৩০দিনের মাথায় বা ১৫দিনের মাথায় যদি জাব পোকার আক্রমন দেখা যাচ্ছে তাহলে রাসয়নিক কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। যে সমস্ত পরিবেশবান্ধব কীটনাশক আছে সেইগুলী নির্বাচন করতে হবে। অ্যাসিফেটে ৫০%+ইমিডাক্লোপ্রিড১.৮% SP যে পাউডার ফর্মে যে ওষুধ টা পাওয়া যায় সেটি ২.৫ গ্রাম প্রতি লিটার জলে সাথে মিশিয়ে বিকেলের দিকে জমিতে স্প্রে করা যায়। এছাড়াও ডাইমিথোয়েট রোগর বাজারে পাওয়া যায় ৩০%ইসি ২ মি .লি প্রতি লিটার জলের সাথে মিশিয়ে স্প্রে করা যায় ।
আরো বিস্তারিত জানতে হলে রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন এর নি:শুল্ক হেল্প লাইন নম্বর এ কল করুন-১৮০০-৪১৯-৮৮০০। তথ্যটি শোনার জন্য ধন্যবাদ
Comment | Author | Date |
---|---|---|
Be the first to post a comment... |
Copyright © 2025 Reliance Foundation. All Rights Reserved.